দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বদলিতে স্বচ্ছতা আনতে এ বছর অনলাইনে বদলি কার্যক্রমে চালু করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। উপজেলা, জেলা, আন্তঃবিভাগ ও মহানগর বা সিটি কপোরেশন—চারটি স্তরে বদলি কার্যক্রম অনলাইনে হয়। এতে শিক্ষকদের হয়রানি, তদবির, অনিয়ম দুর্নীতি বন্ধ হওয়ায় এ কার্যক্রমটি স্থায়ী রূপ দিতে উদ্যোগ নিয়েছে মন্ত্রণালয়। এর অংশ হিসেবে একটি নীতিমালা করতে যাচ্ছে গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, বছরের প্রথম তিন মাসে (জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি ও মার্চ) হবে শিক্ষক বদলি কাযক্রম।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ প্রতিষিদ্ধকে বলেন, ‘আগেও অ্যানালগ পদ্ধতিতে বদলি কাযক্রম বছরের প্রথম তিন মাস হতো। অনলাইন বদলি কার্যক্রমও প্রথম তিন মাসের মধ্যেই শেষ করতে চাই। এ জন্য এ সংক্রান্ত একটি নীতিমালার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আশা করি এ বছরের মধ্যে তা চূড়ান্ত করে প্রকাশ করা হবে।’
বদলি কার্যক্রম শেষ করার কারণ ব্যাখ্যা করে সচিব বলেন, ‘প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ হয় স্থানীয় বা উপজেলার ভিত্তিতে। একটি উপজেলা যতটি পদ ফাঁকা হয় ততজন শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়। সারা বছর বদলি কার্যক্রম চললে ওইসব স্কুলে শিক্ষক সংকট হয়। এর প্রভাব পড়ে সব ক্লাসগুলোতে। তাই শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে বছরের শুরুতেই বদলি কাযক্রম শেষ করতে চাই। অন্য নয় মাস শিক্ষক নিয়োগসহ অন্যান্য কাযক্রম চলবে।’
এদিকে চলতি বছর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের একই জেলার মধ্যে আন্তঃ উপজেলা বা থানায় বদলির আবেদন ২৮ ফেব্রুয়ারি, এরপর জেলা, আন্ত বিভাগ ও সিটি করেপারেশনের বদলি আবেদন নেয়া শেষ হয় ৬ এপ্রিল। এরপর সিটি কপোরেশন বদলি কাযক্রম শেষ হয় জুলাই মাসে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বিভিন্ন মহানগর, দেশের ১২টি সিটি করপোরেশনে বদলির জন্য ৬ হাজারের বেশি আবেদন পড়ে। সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়ে ঢাকা মহানগর ও সিটি কপোরেশনের জন্য। ঢাকার আট পদে বদলির জন্য ১ হাজার ৪৬৮টি আবেদন পড়ে। আর ১২ সিটি করপোরেশনে বদলির জন্য মন্ত্রী-এমপিদের ১৭৪টি ডিও (আধা সরকারি পত্র) দেয়। এসব আবেদন নিষ্পত্তি করতে জুলাই মাসে গিয়ে গড়ায়।
আরো দেখুন: র্যাগিং প্রতিরোধে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নতুন নীতিমালা
প্রতিষিদ্ধ/এমএ
