মঙ্গলবার, মে ১৪, ২০২৪
গুলশানকে মানবিক এলাকা রূপান্তরে আপ্রাণ প্রচেষ্টা  থাকবে
তাছমিন আক্তার

গুলশানকে মানবিক এলাকা রূপান্তরে আপ্রাণ প্রচেষ্টা থাকবে

প্রকাশের সময় : February 10, 2022 | ঢাকা

তাছমিন আক্তার একাধারে একজন নারী উদ্যোক্তা, সামাজিক, ও সাংগঠনিক ব্যক্তিত্ব

আসন্ন গুলশান সোসাইটি নির্বাচন ২০২২-২০২৪ এ জোন-২ এর আহবায়ক পদে নির্বাচন করছেন তাছমিন আক্তার। । তিনি কুমিল্লা মেডিকেল সেন্টার প্রাইভেট লি. ও কুমিল্লা সেন্ট্রাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক। 
ইনার হুইল ওয়েষ্ট, ঢাকাস্থ কুমিল্লা ও চৌদ্দগ্রাম সমিতি এবং তিনি ইস্কাটন লেডিস ক্লাবের সদস্য। তাছমিন ন্যাম ভিলার সাবেক সভাপতি। 
গুলশান সোসাইটি প্রতিষ্ঠা হয় ২০০২ সালে। তিনি প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে গুলশান সোসাইটির  কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত। তিনি গুলশানবাসীর সাথে তাদের সুখে দুঃখে সবসময় নিবেদিত প্রাণ হিসেবে কাজ করেছেন। আসন্ন গুলশান সোসাইটি নির্বাচনে গৌরবের গুলশান প্যানেল থেকে তিনি নির্বাচন করছেন। তিনি জোন ২ এর আহবায়ক নির্বাচিত হলে রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশানের কি ধরণের পরিবর্তন আনবেন এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তাছমিন বলেন, দেখুন গুলশান এলাকা রাজধানীর অভিজাত এলাকা এখানে সমাজের অবস্থা সম্পন্ন শিক্ষত লোকেরা বসবাস করেন। আমরা এখানে বিদ্যমান যেসব নাগরিক সুযোগ-সুবিধা আছে আমি নির্বাচিত হলে এলাকার সকলকে নিয়ে সেবার মান আরো বৃদ্ধি করবো। 

ঢাকার অন্যতম প্রসিদ্ধ আবাসিক কমিউনিটি গুলশান সোসাইটি। গুলশান এলাকার অধিবাসীদের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত একটি সমাজ সেবামূলক প্রতিষ্ঠান এটি। রাজউক ও গুলশান সোসাইটির এই যৌথ কার্যক্রম পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের একটি প্রশংসনীয় দৃষ্টান্ত হিসেবে ইতিমধ্যেই স্বীকৃতি লাভ করেছে।
বনানী-গুলশান-বারিধারা লেকের সৌন্দর্যবর্ধন ও রক্ষণাবেক্ষণে কাজ করে আসছে গুলশান সোসাইটি। লেকের পাড়ে গাছ লাগানো, দখলমুক্ত রাখা, লেকের পানি পরিষ্কার রাখা এবং ময়লা-আবর্জনামুক্ত রাখতে কাজ করছে গুলশান সোসাইটি। সৌন্দর্যবর্ধন কাজ করছে সোসাইটি। বিভিন্ন সময় লেকের গুলশান অংশে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হয়েছে। লেকে বর্জ্য না ফেলতে এলাকাবাসীকে সচেতন করেছে।

তাছমিন বলেন এখানে বেশ কিছু সমস্যা  আছে তার মধ্যে অন্যতম হল মশার উপদ্রব। আমাদের গুলশানের লেকগুলোকে দূষণমুক্ত করা একানে ড্রেনের পাড় ধরে সমস্ত সুয়েরেজ লাইনগুলো আছে সেসব লেকের পানিতে সরাসরি লেকের পানিতে ময়লা বর্জ ফেলে এতে করে লেকের পানি দূষিত হয়। আমরা চাই আমাদের লেকের পানি যাতে এত স্বচ্ছ হয় যেন এ পানিতে নেমে গোসল করা যায়। 
ফুটপাতের ধারে কিছু প্রাচীন গাছ আছে তার মধ্যে মরা গাছগুলো পথচারীদের চলাচলে সমস্যার সৃষ্টি করে, সেগুলোকে কেটে এখানে নতুন নতুন ফলজ ও বনজ গাছ লাগানো ও এগুলো নিয়ে সিটি করপোরেশনের সাথে কাজ করব। 

তাছমিন বলেন, বর্তমানে আমার হাতে পর্যাপ্ত সময় আছে গুলশান লেকপার্ক ও গুলশান-বনানী লেকের পাড়ে গাছ লাগানো, দখলমুক্ত, লেকের পানি পরিষ্কার রাখা এবং ময়লা- আবর্জনামুক্ত, সৌন্দর্যবর্ধন ও পরিচ্ছন্নতা রাখা। 
রাজধানীর অভিজাত এলাকা হওয়া সত্ত্বে গুলশান-বনানী-বারিধারার বহুতল ভবনেও নেই অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) নজরদারির দায়িত্ব থাকলেও বছরের পর বছর ধরে চলছে এমন অব্যবস্থাপনা। অথচ অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থার শর্তেই রাজউক ওইসব বহুতল ভবন নির্মাণের অনুমোদন দেয়। আমি নির্বাচিত হলে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থার উন্নয়নসহ ভবন নির্মাণাধীন ভবনের কারণে যাতে পথচারী ও বায়ু দূষণের মতো ঘটনা না ঘটে সে লক্ষ্যে কাজ করবো। 
ফুটপাতের পাশে মূল সড়কের অনেকটা জায়গা জুড়ে সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বড় বড় ট্রাক রাখা থাকে। তাই এই রাস্তাটুকু পার হতে গেলে যেকোনো পথচারীকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মূল সড়কের মাঝামাঝি জায়গা দিয়ে হেঁটে যেতে হবে। অথচ ব্যস্ত এ সড়কে সারাদিন বাস-ট্রাকসহ দ্রুত গতির যানবাহন চলাচল করছে।


এই সড়কে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হেঁটে গিয়ে কেউ হয়তো ভাবতে পারেন সামনেই হয়তো ফুটপাতে উঠা যাবে। কিন্তু এরপর ফুটপাতে রাখা আছে ময়লা আনা নেওয়া ভ্যান ও ট্রলি। ওই ঘর থেকে শুরু করে প্রায় অর্ধকিলোমিটার জুড়ে সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার এই কার্যক্রম দেখে বেশিরভাগ মানুষই ফুটপাত ছেড়ে পাশের রাস্তা দিয়ে হাঁটছেন।

সম্প্রতি দেখা গেছে, এসব ভ্যান ও ট্রলি ফুটপাতের পাশে তালা দিয়ে রাখা হয়েছে। আর ছোট ছোট ঘরগুলোর সামনে বড় ট্রাকসহ বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজে ব্যবহৃত গাড়ি মেরামত করা হচ্ছে। আর পথচারীরা হেঁটে যাচ্ছেন মূল সড়ক দিয়ে। সড়কের এই অংশে আবার ড্রেনের ময়লা পড়ে থাকতে দেখা গেছে। আমি নির্বাচিত হলে গুলশানের ময়লা ব্যবস্থাপনার দিকেও বিশেষভাবে নজর দিবো। 
গুলশানের মূল সড়ক ছাড়া বাকি সব শাখা সড়কের কোথাও নেই সিসি টিভি ক্যামেরা। তবে কিছু অলিগলিতে অবস্থিত ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানে সিসি ক্যামেরা থাকলেও সেসব ক্যামেরার মুখগুলো রয়েছে ভবনের দিকে, তাই সড়কগুলো থাকছে নজরদারির বাইরে। যার কারণে প্রয়সই গুলশানে হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনাও ঘটে থাকে। তাছমিন বলেন অবশ্যই একটি সফল বাণিজ্যিক এলাকা গড়ে উঠার পেছনে গুলশান বড় নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে। 
একটি সফল বাণিজ্যিক এলাকা থাকে মানুষের পদচারনায় মুখরিত। সেখানে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করে অসংখ্য মানুষ। গুলশান এলাকাটি এই দিক থেকেও চমৎকার। অনেকটা নিশ্চিতভাবেই বলা যায় দেশের সবচেয়ে সম্ভান্ত্র এবং ধনী নাগরিকদের বসবাস গুলশান-বনানী এলাকায়। কারণ সামর্থ্যবান নাগরিকদের অনেকেই ব্যবসায়ী, বড় বড় ব্যাংক বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান, ডিরেক্টরসহ উচ্চপদে আসীন। সর্বোপরি আমি নির্বাচিত হলে গুলশানকে একটি মানবিক এলাকা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য আপ্রাণ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবো। 


পূর্বের সংবাদ
পরের সংবাদ