বুধবার, মে ৮, ২০২৪
ব্যক্তির নামে স্কুল খুলতে লাগবে ৫ লাখ টাকার তহবিল
ব্যক্তির নামে স্কুল খুলতে লাগবে ৫ লাখ টাকার তহবিল

ব্যক্তির নামে স্কুল খুলতে লাগবে ৫ লাখ টাকার তহবিল

প্রতিষিদ্ধ প্রতিবেদক
প্রকাশের সময় : November 14, 2023 | গণমানুষের কথা

যেকোন ব্যক্তির নামে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে ৫ লাখ টাকার সংরক্ষিত তহবিল থাকতে হবে। প্রতিষ্ঠানের স্থায়ী আমানত হিসেবে এটি তহবিলে জমা রাখতে হবে। হুটহাট এ টাকা খরচও করা যাবে না। শুধু ব্যবস্থাপনা কমিটির সবার সিদ্ধান্ত নিয়ে এ আমানতের লভ্যাংশ তুলে তা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নমূলক কাজে ব্যয় করা যাবে।

গত ১১ নভেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রণীত নতুন বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নিবন্ধন বিধিমালায় এ নিয়ম করা হয়েছে। বিধিমালার ১৩ নম্বর ধারায় ‘ব্যক্তির নামে প্রতিষ্ঠানের নামকরণ’ শিরোনামে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা হয়েছে।

এতে উল্লেখ করা হয়, ব্যক্তির নামে কোনো বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে উদ্যোক্তাকে ৫ লাখ টাকা বিদ্যালয়ের স্থায়ী আমানত হিসেবে সংরক্ষিত তহবিলে জমা রাখতে হবে। শুধু বিদ্যালয়ের উন্নয়নমূলক কাজে ব্যবস্থাপনা কমিটির সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে ওই অর্থের লভ্যাংশ তুলে সাধারণ তহবিলে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে খরচ করা যাবে।

তবে বিধিমালা জারির আগে ব্যক্তি নামে প্রতিষ্ঠিত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে এ বিধি প্রযোজ্য হবে না বলেও এতে উল্লেখ রয়েছে।

অন্যদিকে ১২ ধারায় বিদ্যালয়ের নামে দুটি পৃথক তহবিল গঠনের কথা উল্লেখ রয়েছে। সেগুলো হলো- সংরক্ষিত তহিবল ও সাধারণ তহবিল। মেট্রোপলিটন এলাকায় স্কুল প্রতিষ্ঠা করতে তফসিলি ব্যাংকে স্থায়ী আমানত হিসেবে এক লাখ টাকা জমা রাখতে হবে। এটিকে সংরক্ষিত তহবিল বলা হবে। জেলা সদরের স্কুলের ক্ষেত্রে সংরক্ষিত তাহবিলে ৭৫ হাজার টাকা, উপজেলা ও পৌরসভার ক্ষেত্রে ৫০ হাজার টাকা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ের স্কুলের ক্ষেত্রে ২৫ হাজার টাকার সংরক্ষিত তহবিল থাকতে হবে।

অন্যদিকে একই ধারার ৪ নম্বর উপবিধিতে সাধারণ তহবিল সম্পর্কে বলা হয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়, ছাত্র-ছাত্রীদের বেতন-ভাতার টাকা, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি কর্তৃক দেয়া টাকা, সরকার বা কোনো সংস্থা থেকে প্রাপ্ত অনুদান এবং অন্য কোনো উৎস থেকে পাওয়া অর্থ সাধারণ তহবিলে জমা রাখা যাবে। বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটর সভাপতি ও সদস্যসচিবের যৌথ স্বাক্ষরে উভয় তহবিল পরিচালিত হবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, কিন্ডারগার্টেন স্কুল নিয়ন্ত্রণে গত ফেব্রুয়ারিতে উদ্যোগ নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। বিধিমালা প্রস্তুত করে তা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। সবশেষ আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য পাঠানো হয়। এসআরও নম্বর পাওয়ার পর বিধিমালাটি গেজেট আকারে প্রকাশ করে মন্ত্রণালয়।

আরো দেখুন: 

দুর্নীতির অভিযোগে জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা বরখাস্ত

 

প্রতিষিদ্ধ/ওএফ