বুধবার, অক্টোবর ১৬, ২০২৪
কলেজছাত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে কারাগারে ইউএনও
কলেজছাত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে কারাগারে ইউএনও মনজুর হোসেন।

কলেজছাত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে কারাগারে ইউএনও

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
প্রকাশের সময় : March 07, 2023 | ঢাকা

কলেজছাত্রীর সঙ্গে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্কে স্থাপন করার দায়ে টাঙ্গাইলের বাসাইলের সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মনজুর হোসেনকে কারাগারে প্রেরণ করেছে আদালত।

ওই কলেজছাত্রীর করা মামলায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ২৩ জানুয়ারি টাঙ্গাইল সদর উপজেলা আমলি আদালতের বিচারক অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মনিরা সুলতানা ইউএনও মনজুরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

৬ মার্চ জেলা দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পন করলে বিচারক শেখ আব্দুস সামাদ তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। কলেজছাত্রীর আইনজীবী মো. রাসেল রানা বলেন, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলে ইউএনও মনজুর উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিন আবেদন করলে উচ্চ আদালত মনজুর হোসেনকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পন করার নির্দেশ দেয়। এরপর ৬ মার্চ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পন করার পর বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, মনজুর ২০২১ সালে বাসাইলে ইউএনওর দায়িত্বে থাকাকালিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মির্জাপুরের এক কলেজছাত্রীর সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠার একপর্যায়ে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে মনজুর হোসেন বিভিন্ন সময় ওই কলেজছাত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন। তাকে নিয়ে বেড়াতে যান ভারতে। টাঙ্গাইলের একটি বাসায় স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে তারা একত্রে বসবাসও করেন কয়েক মাস।

পরে ওই কলেজছাত্রী বিয়ের জন্য চাপ দিলে মনজুর হোসেন তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দিলে ২০২২ সালের ২১ জুন ওই কলেজছাত্রী আদালতে মামলা করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন।

মামলাটি তদন্ত করে ২০২২ সালের ২৯ ডিসেম্বর পিবিআই আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয়। তদন্তে আসামির বিরুদ্ধে দন্ডবিধি আইনের ৪৯৩ ধারার অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। মনজুর হোসেনের বাড়ি রাজবাড়ীর পাংশা থানার চরঝিকড়ী গ্রামে। বর্তমানে তাকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ওএসডি হিসেবে সংযুক্ত করা হয়েছে।