নীলফামারীর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পপি খাতুনের (৩১) করা এক মামলায় স্বামী মোহাইমেনুল ইসলামকে (৩৩) ২৬ নভেম্বর দুপুরে গ্রেপ্তার করেছে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ। পরে বিকালে গোবিন্দগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয় মোহাইমেনুলকে।
মামলার তদন্তকারী গোবিন্দগঞ্জ থানার উপ পরিদর্শক প্রলয় কুমার বর্মা প্রতিষিদ্ধ জার্নালকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গোবিন্দগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক প্রলয় কুমার বর্মা মামলার এজাহার সূত্রে জানান, ২০০৪ সালে মোহাইমেনুল ইসলামের সঙ্গে পপি খাতুনের বিয়ে হয়। তাদের দুইটি কন্যা সন্তান আছে।
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার ঢাকায় প্রশিক্ষণে যাওয়ার ছুটি পেয়ে নীলফামারি থেকে বিকেল ৫টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামে ভগ্নিপতি সোহরাবের বাড়িতে আসেন পপি। পরের দিন শুক্রবার দুপুরে মোহাইমেনুল ইসলাম সেখানে হাজির হয়ে তার স্ত্রীর কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। পপি এই টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাকে মারধর করে ঘরের মেঝের উপর ফেলে দেয়। এতে পপির কানের পর্দা ফেটে যায়।
এ সময় মোহাইমেনুল পপি খাতুনের ব্যাগ থেকে ৫০ হাজার টাকা ও চেক বই নিয়ে চলে যান। পরে পপিকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে শুক্রবার রাতে পপি খাতুন বাদি হয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানায় মামলা করেন।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, এর আগেও মোহাইমেনুল তার পপিকে শারীরিক নির্যাতন করে। সে ঘটনায় পপি গত ১৮ নভেম্বর মোহাইমেনুলকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে নীলফামারী সদর থানায় মামলা করেন।
পপি খাতুন গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের জীবনপুর গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের মেয়ে এবং তার স্বামী মোহাইমেনুল ইসলাম একই গ্রামের মাকসুদুর রহমানের ছেলে।